বিচারকের হস্তক্ষেপে বিরোধ মিটলো দুই ভাইয়ের
বরগুনার বামনায় আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে চলে আসা জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিটলো বিচারকের হস্তক্ষেপে। আপন দুই ভাই হলেন, আবদুল মালেক ও জাহাঙ্গীর হোসেন। তারা বামনার ডৌয়াতলা বাজার এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউসুফ আলীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া তিন শতাংশ জমি ভোগদখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই মালেক ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিগত আট মাস আগে বিরোধের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারিও হয়। এতে উভয়ই আহত হলে একে অপরের বিরুদ্ধে বামনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।
এরপর মামলাটি জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী বিচারক অনুতোষ বালার আদালতে আপস মীমাংসার জন্য পাঠানো হয়।
তিনি একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেন। এরপর বড়ভাই আবদুল মালেক এবং তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসানুর রহমান জনকে নিয়ে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঘটনাস্থলে গিয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ওই জমি পর্যবেক্ষণ করে ছোট ভাই জাহাঙ্গীরকে তার পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে আপস মীমাংসার শর্তে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান রেখে উভয় ভাইকে মিলিয়ে দেন বিচারক। এমন বিচারিক আন্তরিকতায় এলাকাবাসীসহ সকলেই স্বস্তি প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, এই দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেকদিন ধরে বাবার জমি ভোগ দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা উভয়ই আপন ভাই হওয়ায় স্থানীয়রাও তেমন এগিয়ে আসেনি। আজ বিচারক মহোদয়ের হস্তক্ষেপে দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান হলো। এতে তাদের মতো আমরা এলাকাবাসীও খুশি।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসানুর রহমান জন বলেন, আজ বিজ্ঞ বিচারক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই জমি পরিদর্শন করে মৌখিকভাবে আপস মীমাংসার আদেশ দেন এবং সোমবার ৩০ জানুয়ারি জমি মেপে সমহারে ডিসিআর অনুযায়ী দুই ভাই ভোগ দখল করবেন। এ রায়ে উভয়পক্ষই খুশি।
তিনি আরও বলেন, মামলার জটিলতা নিরসনে প্রায়শই বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলীদের মনোভাব থাকে আপস মীমাংসার প্রতি। বিচার প্রার্থীদের মনোভাব এবং মানসিক আকাঙ্খার ওপর নির্ভর করে বিচার প্রক্রিয়ার মীমাংসা বা বিচারান্তে রায় পাওয়া। এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় মামলার বিচারের রায়ে যা প্রাপ্তি হয় ততটুকু প্রাপ্তি অর্জনে সময় এবং মামলার ব্যয়ভার অনেক বেশি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি অনেক সহজতর।
খান নাঈম/এমএএস