অবশেষে উদ্বোধন হলো ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল
নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জেন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ লোকমান হাকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জেন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বলেন, ২৫০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভোলার চিকিৎসা সুবিধা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এতদিন রোগীদের নানান ভোগান্তি হতো, এখন সেটা লাঘব হবে। ভোলার মানুষ এখন আধুনিক চিকিৎসাসেবা এই হাসপাতাল থেকেই পাবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি উদ্বোধনের কথা ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে হাসপাতালটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। তবে বিকেলে জানানো হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সময় না পাওয়ায় আজ উদ্বোধন হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার ভোলা জেনারেল হাসপাতালে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই সাত তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ১ বছর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে গণপূর্ত বিভাগ। অথচ ভবনটি নির্ধারিত সময়ের আগে নির্মিত হলেও এতদিন ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চলছিল পুরোনো ১০০ শয্যা ভবনের জনবল দিয়ে।
সাত তলা এই ভবনটিতে আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম, লিফট ও সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে উন্নত চিকিৎসা সেবার আধুনিক সুবিধা। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ রয়েছে আধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। তবে ডাক্তার নার্স ও স্টাফসহ রয়েছে জনবল সংকট।
আরএআর