নেই চিকিৎসক, স্যাকমো দিয়ে চলছিল চিকিৎসা ও অপারেশন
হাসপাতালে রোগীদের অপেক্ষা, ডাক্তার দেখাবেন। চেম্বারের বাইরেও নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবে যাকে তারা সরল বিশ্বাসে ডাক্তার মনে করে হাসপাতালে এসেছেন তার ন্যূনতম এমবিবিএস ডিগ্রি নাই? ডাক্তার নামধারী রোগী দেখা ব্যক্তি আসলে একজন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট অথবা স্যাকমো।
দুইজন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট/স্যাকমো হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোরের সকল রোগীদের যাবতীয় ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন।হাসপাতালের ল্যাবে যাবতীয় রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। অথচ নেই কোনো প্যাথলজিস্ট।
আলট্রাসোনো করানোর কথা একজন ডাক্তারের। অথচ এটি নিয়মিত করাচ্ছেন নামের আগে 'ডাক্তার' লাগানো একজন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট অথবা স্যাকমো। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার জন্য অটোক্লেভ মেশিনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪র্থ তলায়।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকার মনোয়ারা জেনারেল হাসপাতাল (প্রাঃ) অ্যান্ড নার্সিং হোমকে এসব অভিযোগে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসীর আরাফাত। এসময় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলামসহ বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মো. ইয়াসীর আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটা অনেক বড় অপরাধ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. মেহেনাজকে (৩২) লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
হাসিব আল আমিন/এমএএস