দ্বিতীয় দিনে ইবাদত-বয়ানে মশগুল ইজতেমা ময়দান
বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ইজতেমা ময়দানে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমগণ ও শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিগণ কোরআন-হাদীসের আলোকে বয়ান করছেন। তাৎক্ষণিক বিভিন্ন ভাষায় ধৈর্য্য সহকারে দ্বীন ও আখলাকের বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাদ ফজর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদুল হক। সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বয়ান করেন। আরব জামাতের জন্য বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, বধিরদের জন্য বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সানোয়ার, বিদেশি জামাতের মুসল্লিদের জন্য ইংরেজিতে বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান। বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ ফারুক। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা যুহারুল হাসান এবং অনুবাদ করবেন কাকরাইল মসজিজদের ঈমাম মাওলানা যোবায়ের। ইজতেমার প্রধান বয়ান করা উর্দু ভাষায়, তাৎক্ষণিক সেই বয়ান বাংলা, আরবি, তামিল, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, হিন্দি ও তুর্কিসহ বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য অনুবাদ করা হয়।
ইজতেমা মাঠের মুরুব্বিরা জানান, তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠের সব কাজ করা হয় পরামর্শের মাধ্যমে। এখানে বিদুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের অনুসারীরা এতে অংশ নেন। তারা এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেঁকে রাখা হবে ইজতেমা ময়দান। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপদ যাতায়াত ও সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রতিদিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আগামীকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
শিহাব খান/আরকে