বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একটি বিষফোড়া : লিটন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ছয় মাস ধরে বিএনপি নামক একটি দল, একটি বিষফোড়া বাংলাদেশের রাজনীতি ও দেশের সার্বিক পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে। তারা একেক সময় একেক কথা বলছে। কখনো বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, কখনো বলছে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আবার কখনো ২৭ দফা, কখনো ১০ দফা দাবি করছে।
শুক্রবার (১৩ জানুযারি) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে। তারা একেকটি সমাবেশে একেক রকম ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলেছিল ডিসেম্বরের ৩ তারিখের রাজশাহীর ওই সমাবেশ সেমিফাইনাল এবং ১০ তারিখে ঢাকায় হবে ফাইনাল খেলা। বিএনপি বলেছিল তাদের কথিত দুর্গে (রাজশাহী) লাখ লাখ মানুষ হবে। কিন্তু রাজশাহীতে যারা বসবাস করি তারা দেখেছি, বিএনপির সমাবেশে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি লোক হয়নি। আগামী ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জনসভায় মানুষের ঢল নামবে। এর মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করে দেব, জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে। বলা মাত্রই যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে, দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে। এছাড়া এমন কোনো হীন কাজ ছিল না যা তারা করেনি। এখন তারা বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তারা যদি রাজপথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যে হাত দিয়ে মানুষের যানবাহন অথবা গাড়ি বা অন্য কিছুতে আগুন লাগাবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে মানুষকে আঘাত করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে।
সভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার।
এছাড়া সভায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হোসেন আলী হাসান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমজেইউ