জয়পুরহাটে ১৮৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যে আখ মাড়াই শুরু
জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপ করে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে চিনিকল চত্বরে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের যুগ্মসচিব এবং পরিচালক (অর্থ) খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা সামছুল আলম, আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিম উদ্দিন, চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকতার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে যুগ্মসচিব এবং পরিচালক (অর্থ) খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, এ বছর সরকার আখের মূল্য বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা সেটার সুবিধা পায়নি। ইতোমধ্যে আখের দাম বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। আমরা আবার জানতে পারব আখের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আখের যথাযথ পরিচর্যা করা হলে আখের ফলন বৃদ্ধি পাবে। তাই আখের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষি জমি কম হলেও সমস্যা হবে না। তাই আপনারা আখের সঠিক পরিচর্যা করুন এবং আবাদ বৃদ্ধি করুন।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান বলেন, আখ থেকে চিনি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু আখের আবাদ কম। তাই আপনাদের (কৃষক) আখের আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। এখন আখের মূল্য পরিশোধ করতে সময় নিতে হয় না। সঠিক সময়েই আখের মূল্য পরিশোধ করা হয়।
তিনি বলেন, জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলায় আখ চাষের জন্য জমি আছে। এসব জমিতে যদি আমরা আবাদ করি, তাহলে চিনি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আমরা আবার যদি পাঁচ মাস ধরে মিল চালাতে পারি, তাহলে এই ভারী প্রতিষ্ঠানটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এই এলাকার অর্থনীতির চাকা সচল হবে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এটি ৬০তম আখ মাড়াই মৌসুম। এই মৌসুমে ৩০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে এক হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আখ সংকট রয়েছে। গতবারের মতো এবারও মিল গেটে আখের মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৪৫০ এবং বাইরের কেন্দ্রগুলো থেকে ৪৪০ টাকা দরে আখ কেনা হবে। এছাড়া এবার মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আখচাষিদের আখের মূল্য পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চম্পক কুমার/আরএআর