নড়াইলে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ২ জনের
নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে বিক্ষুব্ধ জনতা দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরবেলা পৌরসভার উজিপুর গ্রামের বিলের মধ্য থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
নিহত মো. আসাদুল শেখ (৩৫) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা গ্রামের মো. গফুর শেখের ছেলে ও হাসান মোল্যা (৪০) বাগেরহাট সদরের ছোট বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মধুমতি সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নড়াইল থেকে প্রতিনিয়ত গরু চুরি হচ্ছে। রাত জেগে পাহারা বসিয়ে গরু চুরি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। রোববার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বীর গ্রামের রেবু বিশ্বাসের বাড়িতে ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল চুরির উদ্দেশে যায়। এ সময় বাছুরের ডাকে রেবু বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে এসে তাদের ধাওয়া করে। পালানোর চেষ্টাকালে বিক্ষুদ্ধ জনতা নড়াইল-গোবরা-ফুলতলা সড়কের উজিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের পূর্বপাশে একজন চোরকে ধরে ফেলে। অন্যজন অদূরেই বিজয়পুর কাড়ার বিলের মধ্যে পড়ে যান। উপস্থিত জনতা দুজনকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তারা নিহত হন। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এলাকাবাসী আরও জানায়, এসব চোরেরা দিনের বেলায় এলাকায় ফেরি করে বেড়ায়। গতকালও নিহতদের এলাকায় ফেরি করতে দেখা গেছে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরদের ধরার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করা সহ এলাকায় পাহারা বসানো হয়। বীর গ্রামে গরু চুরির ঘটনায় উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সজিব রহমান/আরকে