তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরের কাপড়ের মার্কেটের আগুন
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি পাইকারি কাপড়ের মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সমর্থ হয়।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে হাজী আব্দুর রহিম পাইকারি কাপড়ের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি। তবে আগুনে কোটি কোটি টাকার কাপড় পুড়ে গেছে।
হাজী আব্দুর রহিম মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রংধনু ফ্যাশনের ম্যানেজার রমজান আলী জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে মার্কেটে আগুন দেখতে পেয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন মানুষ। মুহূর্তেই আগুন তার দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকান থেকে কোনো কিছু বের করে নিতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘দোকানে ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। চোখের সামনে লাখ লাখ টাকার মালামার পুড়ে গেল, দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।’
অপর পাইকারি দোকান আজিজ হাউজের মালিক আব্দুল আজিজ জানান, তার দোকানে ৬০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। তিনি জানান, অনেক দোকানিই কোনো কিছু বের করে নিতে পারেননি।
পাইকারি মার্কেটটির মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন জানান, প্রায় ২০০ দোকান ও ৩০০ ভিট ভাড়া নিয়ে এ মার্কেটে ছোট বড় মিলে ৫০০-৬০০ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতেন। শীতের বিভিন্ন ধরনের কাপড় ছাড়াও শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, কম্বলসহ সব দোকানই মালামালে পরিপূর্ণ ছিল। সারাদিন টুকটাক কাস্টমার থাকলেও সন্ধ্যার পর মার্কেটে প্রচুর ভীড় হয়। রোববার রাত ৯টার কিছু সময় পর হঠাৎই মার্কেটের দক্ষিণ পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আগুন আশপাশের দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় পাশের হোসেন মার্কেটেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে থাকা ২০-২৫টি দোকানের মালামাল পুড়ে যায়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানিয়েছেন, মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার হাজী আব্দুর রহিম পাইকারী কাপড়ের মার্কেটে আগুনের খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ও টঙ্গী থেকে আরো দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। মার্কেটের রাস্তা খুব সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শেষ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় তিন ঘন্টায় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।
শিহাব খান/এমটিআই