হাসপাতালে পুত্রবধূর মরদেহ রেখে পালালেন শ্বশুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুখিনা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে শ্বশুর আব্বাস আলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ রেখে পালিয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
সুখিনা জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী তাকে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান।
সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে অত্যাচার করতো সাইদুল। সাইদুল তাকে কোনো কিছুতেই স্বাধীনতা দিতো না। আজকে সাইদুলের কারণে সুখিনা আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাহাদুর আলম/আরএআর