‘আন্তর্জাতিক শক্তি চায় দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ আগামী দিনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার চায়, আন্তর্জাতিক শক্তিও তাই চায়।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে বিজয়ের দিনে আমরা স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে। আমরা স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে। যারা রক্ত দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার একান্ন বছর পাড়ি দিয়েছি আমরা কিন্তু দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল, শহীদদের যে স্বপ্ন ছিল যে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আজকে সেই সব চেতনা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। দেশে গণতন্ত্র নাই, অর্থনৈতিক লুটপাট, চাঁদাবাজি চলছে। দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে তাই আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস প্রায়। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ বিপর্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গায়ের জোরে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। আবার এই ধরনের একটি নির্বাচন করার জন্য সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন করা হচ্ছে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাকেও কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সিনিয়র মহাসচিব রিজভী আহমেদ, খাইরুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলনসহ আমাদের হাজারের ওপরে নেতাকর্মী ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হয়েছে। এসব সরকারের দমননীতির নগ্ন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এই ঘটনার পর সারাদেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের এই বিজয় দিবসে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা যে ১০ দফা দিয়েছি সেই দফা বাস্তবায়নে এ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে করে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে।
বিএনপির ১০ দফার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যে দশ দফা ঘোষণা করেছি সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে কোনো দফা নেই, এটা জনগণও চায় না। শুধু জনগণের দাবিকে আমরা এই ১০ দফায় রুপান্তর করে প্রকাশ করেছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা করেছি। যারা এই সরকারের বিদায় চায়, যারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা সকলেই এ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ আমান, ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।
মাহিদুল মাহিদ/আলকামা/আরকে