পুষ্টি-স্বাস্থ্য-জেন্ডার সচেতনতার বার্তা নিয়ে রংপুরে মম
অভিনয়ের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে কাজ করছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। সেই কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জানো প্রকল্পের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে রংপুর এসেছিলেন তিনি।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুরের তারাগঞ্জের ঘনিরামপুুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন ও কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে আড্ডা দেন তিনি।
ওই দিন সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভাগীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি সচেতনতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
টিভি ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুষ্টি ক্ষেত্রে অনেক অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের কিশোর-কিশোরীরা এখনো পুষ্টি সচেতনতায় পিছিয়ে আছে। অথচ কৈশোরেই সব কিছু জেনে বুঝে তৈরি হওয়ার সময়। বাকি সময়টা প্রাকটিস করার মধ্যে থাকতে হয়। শুধু জানলে হবে না, সেটি জীবনে কাজে লাগাতে হবে। তথ্য প্রাকটিস করলে তা জ্ঞানে পরিণত হয়। এই বিষয়টি আমাদের শিশু-কিশোরদের বোঝাতে হবে।
জাকিয়া বারী মম বলেন, আমি তারাগঞ্জের ঘনিরামপুুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। সেখানে জানো প্রকল্প শিশু-কিশোরদের কৈশোরকালীন পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে চার বছর ধরে কাজ করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানকার শিশু-কিশোরদের একটা সচেতনতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। বিদ্যালয় ঘিরে তাদের যে কার্যক্রম, তা সত্যি অভিভূত হওয়ার মতো। পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের জলবায়ু সহিষ্ণু সবজি বাগান, কিশোর-কিশোরী কর্নার, আত্মরক্ষার্থে কারাতে প্রশিক্ষণ দেখেছি। তাদের সঙ্গে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে কথা বলেছি। এদের মতো শিশু-কিশোরদের পুষ্টি সচেতনতায় সংবাদকর্মীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সরকারের সহায়ক প্রকল্প হিসেবে রংপুর ও নীলফামারী জেলার নির্বাচিত ১৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ২৮টি মাদরাসায় কাজ করছে জয়েন্ট অ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্প। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে আছে অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি