দিনে গরম রাতে ঠান্ডা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৪
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় দিনে তাপমাত্রা ২৯-৩০ ডিগ্রি রেকর্ড হচ্ছে। আর গত কয়েক দিন ধরে সকালে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।
এদিকে রোববার (০৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছু দিন ধরেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বুধবার বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে আবার শীতের পারদ নেমে আসে। চলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত।
এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই-তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ভোর ৬টায় ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এসকে দোয়েল/এসপি