কিশোরগঞ্জে শিক্ষাবৃত্তিসহ ভাতা পাচ্ছেন ৫৬ হাজারের বেশি প্রতিবন্ধী
কিশোরগঞ্জে ১৩টি উপজেলায় ৫৫ হাজার ২৬২ জন প্রতিবন্ধী নিয়মিত সরকারের ভাতা সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়াও শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ১ হাজার ৩৫০ জন প্রতিবন্ধী। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুফলভোগীর মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে এসব অর্থ। এতে করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পিছিয়ে পড়া বিশাল এ জনগোষ্ঠী।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ৩১তম আন্তর্জাতিক ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। সারাদেশের মতো সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে কিশোরগঞ্জেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাসে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী পাচ্ছেন ৮৫০ টাকা করে। আর শিক্ষাবৃত্তি প্রকার ভেদে ৭৫০, ৮০০, ৯০০ ও এক হাজার ৩০০ টাকাও পাচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা। কিশোরগঞ্জ সদরে ৫ হাজার ৪৯৬ জন, করিমগঞ্জে ৩ হাজার ৯৫৬ জন, তাড়াইলে ২ হাজার ৫৫২ জন, নিকলীতে ২ হাজার ১১৩ জান, মিঠামইনে এক হাজার ৪৬৭ জন, ইটনায় ২ হাজার ৬১৯ জন, অষ্টগ্রামে ২ হাজার ২২০ জন, বাজিতপুরে ৩ হাজার ৯৯৯ জন, কুলিয়ারচরে ২ হাজার ৪৪৮ জন, ভৈরবে ৪ হাজার ৮৩ জন কটিয়াদীতে ৪ হাজার ২০৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩ হাজার ১৪৭ জন, হোসেনপুরে ৩ হাজার ৩০৩ জন ও শহর সমাজসেবার মাধ্যমে এক হাজার ৩২৫ জন প্রতিবন্ধী নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন।
এছাড়াও কিশোরগঞ্জ সদরে ৬৭ জন, করিমগঞ্জে ১৯৫ জন, তাড়াইলে ৯২ জন, নিকলীতে ৬৭ জান, মিঠামইনে ৭৪ জন, ইটনায় ৭৮ জন, অষ্টগ্রামে ১৮৬ জন, বাজিতপুরে ৪৮ জন, কুলিয়ারচরে ২২১ জন, ভৈরবে ৬৮ জন, কটিয়াদীতে ৩২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৭৪ জন, হোসেনপুরে ১৬০ জন ও শহর সমাজসেবার মাধ্যমে ৮৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান খান জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ভাতা পাওয়ার ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত সরকারের এসব সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে তাদের জীবন মান উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী হতে সমাজসেবা থেকে সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।
এসকে রাসেল/আরকে