শেখ হাসিনার মতো দুঃখী আর কেউ নেই : হুইপ স্বপন
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্যই বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছিলেন, জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জনগণের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, এখন শেখ হাসিনা হাসি ফোটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেবে। আবার কিছু মানুষ কখনোই গা ভাসাবেন না। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে না দিয়ে আমরা আদর্শের রাজনীতির চর্চা করি। আসুন সবাই মিলে মানুষের কাছে যাই, মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার কথা ভালোভাবে বুঝাই।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, শেখ হাসিনার মতো দুঃখী আর কেউ নেই। তিনি চাইলেই বাবা-মায়ের জন্য পায়েস রান্না করতে পারেন না। পিঠা বানিয়ে বাবা-মাকে খাওয়াতে পারেন না। অথবা কেউ ডেকে বলে না, মা হাসু আয় তোর জন্য পিঠা বানিয়ে রেখেছি। তিনি তো পরিবারহারা, ভাইহারা। তাই তিনি যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধবা ভাতা পৌঁছে দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করেন তখন তিনি মনে করেন তার মায়ের মন শান্তি পাচ্ছে। গ্রামের অসহায় মানুষগুলো যখন ভিজিএফ-ভিজিডির মাধ্যমে দুমুঠো ভাত খান তখন শেখ হাসিনা খুশি হন। যখন মানুষগুলো ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আলহামদুলিল্লাহ বলেন তখন তিনি মনে করেন কবর থেকে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শান্তি পাচ্ছেন। অনেক প্রধানমন্ত্রী এসেছে, অনেক প্রধানমন্ত্রী আসবে। অনেক রাষ্ট্রপতি এসেছে, অনেক রাষ্ট্রপতি আসবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ আর বাংলাদেশে আসবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের গরিব মানুষকে, মাটিকে,মানচিত্রকে এভাবে দরদ দিয়ে ভালোবাসার মানুষ আর আসবে না। আমরা সেই শেখ হাসিনার কর্মী।
সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছানা উল্যাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০ বছর পর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনকে ঘিরে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ