খুলনায় বিস্ফোরক মামলায় ৮ জনের খালাস

দেড়যুগ পর খুলনায় দুই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় ৮ আসামি খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, মিলন, শেখ শাহাদাৎ হোসেন রাজু, আসাদুজ্জামান টিপু, রফিকুল ইসলাম মিল্টন, একরাম হোসেন, কামাল, বিপ্লব ও মালিথা। এ মামলার অপর আসামি রিয়াজুল হক মাসুদ মৃত্যুবরণ করেছেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেএম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনায় দুই পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ৯ আসামির মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপর এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১১ মার্চ পুলিশ সদস্য শরীফুল, রমেশচন্দ্র, নিজাম উদ্দিন ও মনিরুজ্জামান নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদের অবস্থা মারাত্মক সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা রমেশ চন্দ্রের নামে সরকারি অস্ত্র শর্টগান ৯৭ মডেল ও ৭ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তাদের মধ্যে শরীফুল ও রমেশচন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এস আই অরবিন্দু বিশ্বাস আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ দেড়যুগ পর আজ আলোচিত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। এ মামলার ৯ আসামির মধ্যে রিয়াজুল হক মাসুদ নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রাজু কারাগারে ছিল, মিল্টন, টিপু ও মিলন জামিনে ছিলেন। এছাড়া একরাম, কামাল, বিপ্লব ও মালিথা পলাতক রয়েছেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরকে