৪৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ২৩৫, এক বেডে থাকছেন ৩ জন
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় জেলায় শীত আগেই আসে। এবার শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ২৩৫ জন। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে ২৩৫ জন শিশু ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬২ জন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৩৫ জন ও অন্য শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
এদিকে ৪৫ শয্যার বিপরীতে হঠাৎ কয়েক গুণ রোগী বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। একেকটি শয্যায় ৩-৪ জন করে শিশুকে রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই শয্যাতে রোগীর মায়েরাও থাকছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা। অনেকটা বাধ্য হয়েই ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, তার শিশুর হঠাৎ করে বমি, সর্দি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা দুই দিন ধরে এখানে আছেন। কিন্তু হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক। তিনি শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রয়েছেন। তার মতো আরও অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা শহরের আশ্রমপাড়া থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন সালেহা বেগম। তিনি বলেন, মেয়েটার ঠান্ডায় বুকে কফ জমে গিয়েছিল। তাই হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে ছেলেটার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। দুই সন্তানকে নিয়ে এখন হাসপাতালে আমি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজীব-উল-দোজা (তূর্য) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠান্ডা বাড়ার কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন মায়েদের একটু সচেতন হতে হবে। বাচ্চাদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে।
এম এ সামাদ/এসপি