যে গ্রামের প্রায় সবাই কাতারের সমর্থক
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আনন্দ ছড়িয়ে গেছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। শহর পেরিয়ে বিশ্বকাপ-জ্বরে ভুগছে অজপাড়া গাঁ। উচ্ছ্বসিত শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কাপ জেতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ভক্তদের মধ্যে।
প্রিয় দল আর প্রিয় খেলোয়াড়ের হাতেই দেখতে চায় এবারের বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমী আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি কিংবা ইতালির সমর্থক হলেও ব্যতিক্রম চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার উঘারিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা এবার সমর্থন করছেন আয়োজক দেশ কাতারকে। তাই কাতারের সাফল্য কামনায় করলেন ব্যতিক্রমী এক আয়োজন। প্রায় ৫০০ ফুট লম্বা কাতারের জাতীয় পতাকা নিয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনার আয়োজন করেন উঘারিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসীরা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের উঘারিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসীদের উদ্যোগে প্রিয় দল কাতারের সাফল্য কামনায় এই আয়োজন করা হয়। আর ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করেন এলাকার ছোট-বড় বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ।
উঘারিয়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুর ইসলাম ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত কাতারকে ভালো লাগার কারণ হচ্ছে আমাদের গ্রামের অনেক মানুষ কাতার প্রবাসী। কাতারে আমাদের গ্রামের শত শত মানুষ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে এবং দেশের রেমিটেন্স অর্জন হচ্ছে। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে এবং কাতারের নিজস্ব দল রয়েছে। তাই ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা নয় আমরা কাতারকে সমর্থন করছি।
প্রবাসী আরিফুজ্জামান সুমন জানান, উঘারিয়া গ্রামের প্রায় ২০০ পারিবার। এই পরিবারগুলোর মধ্যে কমপক্ষে একজন হলেও কাতার প্রবাসী। আমরা যারা কাতারে থাকি তারা সংঘবদ্ধ ইউনিট হিসেবে সেখানে কাজ করছি। আমাদের সবার মূল লক্ষ্য হলো কাতারের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক আরও দৃঢ় করা। যেহেতু কাতার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আয়োজন করছে এবং কাতারের নিজস্ব দল রয়েছে সেই হিসেবে আমরা সবাই কাতারকে সমর্থন দিচ্ছি। কাতার বিশ্বকাপে ভালো করুক এই প্রত্যাশা করছি।
কাতার প্রবাসী এবং বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধরে কাতারে থাকছি। কাতার এবার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। আমরা যেহেতু কাতার প্রবাসী তাই কাতারকে সমর্থন করছি। আপনাদের এই সম্প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের সুসম্পর্ক আরও গভীর হবে। আমরা কাতারকে ভালোবাসি। কাতার সরকার আমাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আমরা আশা করি কাতার অনেক ভালো করবে।
এমজেইউ