আগুন আতঙ্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, মোবাইলের আলোতে খাঁনপুরে অপারেশন
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আগুন, সেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখে রোগীদের চিৎকারে মুহূর্তের মধ্যেই পুরো হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়েন। ওই সময়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের বিছানায় হাওয়া বিবি। সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন তিনি, এরই মধ্যে আগুনের ঘটনায় বিদ্যুৎ চলে গেছে। তাই মোবাইলের আলোতে হলো সফল অস্ত্রোপচার, সন্তান প্রসব করলেন হাওয়া বিবি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে খানপুর হাসপাতালের একদল চিকিৎসক মোবাইল ফোনের আলোতে সফল অস্ত্রোপচার করেছেন। ৩০০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক মিনারা সিকদার ও দিপানিটা ধরের নেতৃত্বে ওই অস্ত্রোপচারে আরও ৩-৪ জন সহযোগী ছিলেন।
সিজার হওয়া ওই নারীর নাম হাওয়া বিবি। তিনি হাসপাতালের ১৮নং ওয়ার্ডের ৪৮ নম্বর সিটে ভর্তি আছেন। মা ও শিশু দুজনই এখন সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার।
নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হাসপাতালটির এক কর্মচারী ঢাকা পোস্টকে জানান, হাসপাতালের বাইরে বিনষ্ট করার জন্য কিছু ম্যাট্রেস রাখা হয়েছিল। এজন্য একটি কমিটিও করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবহার অনুপযোগী সেই ম্যাট্রেসগুলো অপসারণ করার আগেই সেখানে আগুন লেগে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বহিরাগত অজ্ঞাত কোনো লোকের সিগারেটের আগুন থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রোগীরা এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছিল।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় অস্ত্রোপচার চলছিল। সে অবস্থায় চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটার ছেড়ে যাননি। বর্তমানে মা-শিশু দুজনই ভালো আছে। আগুনে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আবির শিকদার/এসএসএইচ