প্রেমের টানে জামালপুরের যুবক গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়
প্রেমের টানে বিদেশি তরুণী বাংলাদেশে এসে বিয়ে করার খবর এখন প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার ঘটেছে উল্টো ঘটনা। প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় ছুটে গেছেন জামালপুরের যুবক তানজিলুর রহমান অর্ক (২৫)। সম্প্রতি সেখানকার সিতি মারিয়া (২২) নামের এক তরুণীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন অর্ক।
জানা গেছে, জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন।
অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৪০ মিনিটের দূরের বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স নামক এলাকার বাসিন্দা সিতি মারিয়া। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। লেখাপড়া শেষে মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
২০১৯ সালে একটি অনলাইন সাইটের মাধ্যমে সিতি মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় অর্ক’র। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হন তারা। শুরু হয় নিয়মিত কথা আদান-প্রদান। এভাবে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেম। এরপরই পরিণয়ের পথে এগিয়ে যান তারা। এরপর নানা জটিলতা কাটিয়ে গত ১৮ অক্টোবর আকাশপথে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশে পাড়ি জমান অর্ক। সম্প্রতি মুসলিম ধর্মীয় রীতি মেনে তারা আবদ্ধ হয় বিয়ের বন্ধনে।
তানজিলুর রহমান অর্ক জানান, আমার অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আসার কথা ছিল। প্রথমে করোনার কারণে ভিসা পাইনি। ভিসা চালু হওয়ার পর ফের জটিলতা দেখা দেয়। তার জন্য আসতে দেরি হয়েছে। এখানে এসে অনেক কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে।
অর্ক বলেন, স্ত্রী সিতিকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। আমাদের নিয়মিত যাতায়াত থাকবে। সিতি চাইলে বাংলাদেশেও থাকতে পারে, ইন্দোনেশিয়াতেও থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
উবায়দুল হক/এসএসএইচ