আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ৭৭০ টন পাথর আমদানি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে পাথর আমদানি করা হয়েছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ২১টি ট্রাকে করে ৭৭০ টন পাথর এসে পৌঁছায় বন্দরে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়েছে স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য।
আমদানি হওয়া পাথর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের কাজে ব্যবহার করা হবে। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করেছে পাথরগুলো। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে। পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।
অন্য পণ্য আমদানি করে ভালো মুনাফা না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র বিনাশুল্কের গম আমদানি করেন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন এলসি খুলতে না পারায় বন্ধ হয়েছে গম আমদানিও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ স্থলবন্দর দিয়ে এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাথর রপ্তানি হতো। তবে গেল কয়েক বছর থেকে ত্রিপুরার সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলোর সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা এখন স্থানীয়ভাবে পাথর সংগ্রহ করেন। এর ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পাথর রপ্তানি কমে গেছে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, ২৭০০ টন পাথর আমদানির জন্য এলসি খুলেছে এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। বাকি পাথরগুলো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে বন্দরে প্রবেশ ও অবস্থান ফিসহ বিভিন্ন মাশুল বাবাদ টাকা আদায় করা হবে।
বাহাদুর আলম/আরকে