বাসায় নিজেই সার্ফ এক্সেল ও চা-পাতা বানাচ্ছিলেন কামাল
কুমিল্লায় বাসায় বসে নিজেই ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে নকল সার্ফ এক্সেল তৈরি করে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল চা পাতা মোড়কজাত করে বাজারজাতের অভিযোগে কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর উপজেলার হযরতপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধ্যমে কুমিল্লার সদর উপজেলার হযরত পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় জনৈক কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাসার নীচ তলা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল পণণ্য প্রস্তুত করছিলেন এবং কুমিল্লাসহ আশেপাশের এলাকায় সেগুলো বাজারজাত করেন বলে প্রতীয়মান হয়। বেলা এগারোটা থেকে পরিচালিত অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি অভিযানে দেখা যায়, কামাল হোসেন সামিয়া ব্ল্যাক টি নামের একটি পণ্যের অনুমোদন নিয়ে (যদিও অনুমোদনের সময় শেষ হয়েছে জুন মাসে) প্রচলিত নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে প্যাকেটজাত করছেন।
অভিযানে দেখা যায়, সামিয়া টি-র পাশাপাশি সিলেটের গোল্ড টি, ঢাকার ভাই ভাই কোম্পানির মিয়াজিপুর টি, শাহজালাল কোম্পানির কোয়ালিটি টি, রাজশাহীর সংগ্রাম সুপার টি এ রকম বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল টি প্যাকেটজাত করে বিপণন করছেন।
পাশাপাশি নিম্নমানের সোডা ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে প্রসিদ্ধ সার্ফ এক্সেল ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট পাউডার মোড়কজাত করে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করছেন। অভিযানে ৫ বস্তা নকল সার্ফ এক্সেল ডিটারজেন্ট পাউডার ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩ বস্তা নকল মোড়ক জব্দ করে স্পটে ধ্বংস করা হয়।
ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন করবেন বলে মুচলেকা আদায় করা হয়। এছাড়াও আজ ইপিজেড এলাকার নিত্যপণের দোকানগুলোতেও তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলা এ অভিযানে জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরিফ আজগর/এমএএস