গরুবোঝাই ট্রাক থামিয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২
নীলফামারী হাট থেকে গরু কিনে ট্রাকে করে পাবনায় যাচ্ছিলেন গরু ব্যবসায়ীরা। পথে লাঠির ইশারায় থামানো হয় তাদের গাড়ি। ভয়ভীতি দেখিয়ে চাওয়া হয় টাকা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে রক্ষা পান গরু ব্যবসায়ীরা। গ্রেপ্তার করা হয় চাঁদা দাবি করা দুজনকে।
বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী আরজু প্রামাণিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদরের দস্তপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আবু হাসনাত (৩০) ও শহরের আরামনগর বিশ্বাসপাড়া মহল্লার এনামুল হকের ছেলে নাজমুল হক (৩৮)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কালিতলা হাট থেকে গরু কিনে ট্রাকে করে পাবনায় গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। পথে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় তিনজন ব্যক্তি তাদের গাড়ি থামান। এরপর অন্য স্থানে এক্সিডেন্ট করে আসছেন বলে নানা রকম ভয়ভীতি দেখান এবং ব্যবসায়ী আরজু ও গাড়ির চালককে একটি কক্ষে নিয়ে যান। পরে অন্যরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সেই সাথে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও একজন পালিয়ে গেছে।
ওই ট্রাকে থাকা গরু ব্যবসায়ী হাসেম প্রামাণিক বলেন, আমাদের ট্রাকে ২৯টি গরু ছিল। সাতজন ব্যবসায়ীসহ মোট ৯ জন ট্রাকে ছিলাম। হঠাৎ রাস্তায় ট্রাকের সামনে এসে একজন লাঠি দিয়ে ইশারা করে গাড়ি থামাতে বলে। গাড়িটি থামালে একজন এসে বলে এই গাড়ি পথে এক্সিডেন্ট করে এসেছে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই বলে চালক ও আরেক ব্যাপারীকে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে তারা ৮ হাজার টাকা চায়। বিষয়টি ৯৯৯-এ কল করে জানালে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।
ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুইজন গ্রেপ্তার আছে। একজন পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আগামীকাল আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে। আর ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে তাদের গন্তব্যে চলে গেছেন।
চম্পক কুমার/এসকেডি