খাগড়াছড়িতে এতিম শিশুদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের স্ত্রীর মধ্যাহ্ন ভোজ
কারো বাবা নেই, কারো নেই মা আবার কেউ এতিম। এমন অনেকের ঠিকানা হয়েছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা আল-ক্বারিম মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। এসব শিশুদের সাথে সপরিবারে দুপুরের খাবার ভাগ করে খেলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের স্ত্রী ও পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) সভাপতি রেহানা ফেরদৌসি। বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে নিজের হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে মাদ্রাসার শিশুদের সঙ্গে স্বামী পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক ও মেয়েকে নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন তিনি।
এতিম ও দুঃস্থ শিশুদের মাঝে খাবার ও ফলমূল বিতরণ উপলক্ষ্যে রেহানা ফেরদৌসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মানিকছড়ি সার্কেল) একেএম কামরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন, পুনাক সদস্য নাহিদ আকতার ও মাদ্রাসার সভাপতি হাজী মো. আবদুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
হেফজখানার পরিচালক মোহাম্মদ কাউছার বলেন, পুলিশ সুপার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবার নিয়ে এতিম শিশুদের সাথে খেতে আসবেন তা কল্পনাও করিনি। এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এমন আয়োজনের জন্য আল্লাহপাক নিশ্চয়ই তাদের নেক হায়াত দান করবেন।
পুনাক সভাপতি রেহানা ফেরদৌসি বলেন, আমরা সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। কিন্তু এতিম শিশুদের মুখে এসব খাবার জোটে না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে নিজের হাতে রান্না করে তাদের সাথে খাবার খেয়েছি। পর্যায়ক্রমে পুনাকের মানবিক কর্মকাণ্ডের পরিধি বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃত করা হবে।
পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, এতিমরা কারো সাহায্য চায় না। তারা শুধু অধিকারটুকু পেতে চায়।
পরে রেহানা ফেরদৌসি শিশুদের মাঝে ফলমূল ও পরিধেয় বস্ত্র বিতরণ করেন।
জাফর সবুজ/আরকে