বিশ্বনাথে ইভিএম বিড়ম্বনায় ভোটাররা
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।তবে ইভিএমে ভোট হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
সরেজমিনে বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ইভিএমে ধীরগতির কারণে একটি ভোট নিতে অনেক বেশি সময় লাগছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ রামসুন্দর অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ২ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১১৬ জন পুরুষ ও ১ হাজার ১৮ জন নারী। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৫৮টি।
অপরদিকে রামসুন্দর অগ্রগামী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ১ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৯২৪ আর পুরুষ ভোটার ৯২০ জন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৭৮টি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বনাথ রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটারদের বিরক্ত হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটাররা বেশি বিরক্ত ছিল। একই অবস্থা দেখা গেছে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ কেন্দ্রেও।
ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করে রামসুন্দর অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার বুরহান উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি ভোট নিতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগছে। এতে করে লাইনে থাকা ভোটাররা বেশ বিরক্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের বুথে ভোট গ্রহণ করতে সময় বেশি লাগছে।
বিশ্বনাথ রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ানো ভোটার সোনারা বেগম বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। লাইনে লোক যেন কমছেই না, ভেতরে কিভাবে ভোট হচ্ছে আর ভোট দিতে কতক্ষণ লাগবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্বনাথ দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসায় ভোট দিতে আসা রাজন মিয়া। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবনে এর আগে অনেকবার ভোট দিয়েছি। কিন্তু এইবার ইভিএমে এত সময় লাগছে যা বলার ভাষা নেই।
ধীরগতিতে ভোট কাস্টিংয়ের বিষয়ে বিশ্বনাথ পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান বলেন, আসলে মানুষ ইভিএমে অভ্যস্ত নয়। এজন্য একটু সমস্যা হচ্ছে।
মাসুদ আহমদ রনি/এসপি