ভোটের আগের রাতে ছাত্রলীগ সভাপতির ভাই গুলিবিদ্ধ
কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আব্দুল আওয়াল কনক খান (২৫) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের মাশিলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ আব্দুল আওয়াল কনক খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল আহমেদ খানের ছোট ভাই। তার ঘাড়ে গুলি লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল আহমেদ খান।
বুধবার (২ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল আহমেদ খান বলেন, কুষ্টিয়া ৪ আসনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে আমার ছোট ভাইকে বিদ্ধ করেছে। ছোট ভাইয়ের জীবন এখন সংকটাপন্ন।
তিনি আরও বলেন, রাত ৯টার দিকে আমি ও আমার ছোট ভাই কনক বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে মাশিলিয়া কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় আমার ছোট ভাই কনক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, এ হামলার পেছনে আমি বা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এ হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। বাবুল আক্তার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ও তার কর্মী বাহিনী দলীয় প্রার্থী যাতে পরাজিত হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে (ঘোড়া মার্কা) বিজয়ী করতে মরিয়া। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায়ও লিপ্ত তারা। এ হামলা তারই একটি অংশ।
এ বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, খোকসা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেলেও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
রাজু আহমেদ/এসকেডি