দেশের মানুষ আর এই সরকারকে দেখতে চায় না : টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আজকে সরকার জোর করে জনগণের ওপরে চেপে বসে আছে। আজ বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করে, স্বাধীনভাবে চিন্তা করে, তাদের ১৫ বছর ধরে সরকার নির্যাতন করছে। লুটপাট করে দেশের টাকা পাচার করে বাংলাদেশ এখন টাকা পাচারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে বিএনপির সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। ওই আয়োজন সফল করতে নগরীর মুন লাইট কনভেনশন হলে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি আরও বলেন, আজ দেশকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। আমার প্রশ্ন- প্রধানমন্ত্রী বড় বড় করে বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাহলে কি উনি এতদিন মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন?
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) মানুষের অধিকার বোঝে না। যে অধিকার আদায়ে দেশের কৃষক-শ্রমিক, কামার-কুমার, জেলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। দেশের মানুষ আর এই সরকারকে দেখতে চায় না।
তিনি বলেন বলেন, বিএনপি মানুষকে সংঘবদ্ধ করে রাজপথে নামবে। সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ঘরে ফিরবে বিএনপি। এই আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে শেষ সমাবেশ রাজশাহীর এই বিভাগীয় সমাবেশ। দেশের দৃষ্টান্তমূলক গণসমাবেশ হবে এটি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে। লক্ষ্য একটাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। শেখ হাসিনার অধীন দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনগণ সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাবে। আর ঢাকার জনগণ ১০ ডিসেম্বর সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে।
সমাবেশের জন্য আগে ভাগেই নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সবাই জানেন, সরকার তিন থেকে চার দিন আগেই হরতাল দেবে, বাস-ট্রেন বন্ধ করে দেবে। রংপুরে সমাবেশে অংশ নিতে নেতা-কর্মীরা বড় বড় গুদামঘর ভাড়া নিয়েছিলেন, সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাত কাটিয়েছেন। এখানেও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ব্যবস্থা করা গেলে সমাবেশ সফল হবে। তাহলে সরকার হরতাল দিয়েও সমাবেশ ব্যর্থ করতে পারবে না।
সমন্বয় সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর