খুলনায় গণসমাবেশে যাওয়ায় বাগেরহাটে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে হামলা
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেওয়ায় বাগেরহাটের কচুয়ায় বাড়ি-ঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের জুবাই গ্রামে এশারত আলী শেখের বাড়িতে এ হামলা হয়। হামলায় এশারত আলী শেখ তার ছেলে ইখলাসুর রহমান, স্ত্রী শাহানারা বেগম এবং প্রতিবেশী রুনা আক্তার আহত হন। ইখলাসুর রহমানকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এশারত আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে ইখলাসুর বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় যায়। এই অপরাধে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আজ দুপুরে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা করে ও আমার ছেলেকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেয়। তারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিল এলাকার যারাই বিএনপির সমাবেশে যাবে তাদের সবাইকে দেখে নেবে।
আহত ইখলাস মুঠোফোনে বলেন, দুপুরে বাড়ি ছিলাম। হঠাৎ করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরজু, ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম মাঝিসহ ৭-৮ জন বাড়িতে হামলা করে। সবাই মিলে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারতেছিলো আর গালাগালি দিয়ে বলতে থাকে খালেদা জিয়া তোর মা হয়, যে সমাবেশে যাইস।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি এমএ সালাম জানান, খুলনার সমাবেশে যোগ দেওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কচুয়ায় আমাদের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা ও মারধর করেছে। গুরুতর আহত ইখলাসুরকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এই হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের গণতন্ত্রের নমুনা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম মাঝি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা এলাকায় মহড়া দিচ্ছিল। তখন আমাদের সঙ্গে থাকা সুমন ভাই ইখলাসের বাড়িতে পাওনা টাকা চাইতে যায়। কিন্তু ইখলাস বাড়িতে ছিল না, তার মায়ের সঙ্গে আমাদের কিছুটা কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু ওকে মারধর করা হয়নি, তবে সামনে পেলে মারধর করতেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।
কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় আমাদের জানা নেই। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানজীম আহমেদ/এমএএস