হাতিয়ায় দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ৩
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঘাসিয়ার চরে এ অভিযানের ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ গ্রামের ইসাইলের ছেলে আজিম (৩০), আবদুর রশিদের ছেলে মো. হারুন (৩৭), চর গজারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে লিটন (৩৫), কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে মোশাররফ (৩৭) ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর গজারিয়া গ্রামের মুরাদের ছেলে মো. হিনজু (৩৭)।
নিহতরা হলেন- ফখরুল বাহিনীর সদস্য মো. কবির, মো. শাহরাজ ও নবীর উদ্দীন ওরফে নূরনবী। তাদের সবার বাড়ি ঘাসিয়ার চরে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শাফিউল কিঞ্জল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে জলদস্যু খোকনের বাহিনী। কিছু দিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ভোররাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ফখরুল বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে জলদস্যু খোকন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি গুলিসহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও রড উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে জব্দ করা অস্ত্রসহ হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। উপকূল নিরাপদ রাখতে ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
হাসিব আল আমিন/এসপি