বন্ধুকে বেঁধে রেখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
খুলনায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬)। বন্ধুকে বেঁধে রেখে তার সামনেই তিনজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর দৌলতপুর পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. মেজবাহ উদ্দিন (২৫), মো. সুজন মোল্লার ছেলে মো. ইমন মোল্লা (২০) ও পাবলা বৈরাগী পাড়ার মো. মহারাজ চৌকিদারের ছেলে মো. শিমুল চৌকিদার।
খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এখন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি জানান, দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুলছাত্রী সোমবার বেলা ১১টার দিকে তার বন্ধু মারুফের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। দৌলতপুরের শামীম হোটেলে ভিকটিম ও তার বন্ধু অবস্থানকালে মারুফের বন্ধু মেজবাহ ফোন দিয়ে মারুফকে বলে ‘দোস্ত ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে আয়’। তখন মারুফ ভিকটিমকে নিয়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। সেখান থেকে মো. মেজবাহ উদ্দীন, মো. ইমন মোল্লা ও মো. শিমুল চৌকিদার ভিকটিম ও তার বন্ধু মারুফকে নিয়ে ইজিবাইকযোগে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন মদিনাবাগ এলাকায় যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে মারুফকে আটকে রেখে প্রথমে মেজবাহ উদ্দীন, পরে মো. ইমন মোল্লা ও মো. শিমুল চৌকিদার ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। একইসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর