জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছিলেন ছাত্রলীগ নেতা, বন্ধ করলেন পলক
নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের তেমুক নওগাঁ বাজারে হাটের জায়গা দখল করে ছাত্রলীগ নেতার অফিস নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ ও নির্দেশনায় শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অফিস নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান হারুনের নির্দেশে ৯ জন শ্রমিক ঘর নির্মাণে কাজ শুরু করেন। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, হাটের যে স্থানে ছাত্রলীগ নেতার অফিস নির্মাণ করা হচ্ছিল সেখানে একটি শহীদ মিনার এবং একটি মালিকানাধীন মার্কেট রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। ছাত্রলীগ নেতা জায়গাটি দখল করে তার অফিস নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
ওই মার্কেটের মালিক বিপুল কুমার সাহা বলেন, তার মার্কেটের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ঘর নির্মাণ করছেন। তিনি নিষেধ করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভীম কুমার সাহা বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে দুধের হাট বসে। পাশাপাশি বাজারে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার ভ্যানগাড়িগুলো এখানে রেখে মালামাল অপসারণ করা হয়। এখানে ঘর নির্মাণ হলে একটি পাকা মার্কেট অকেজো ও বাদ্যকরপাড়ার প্রায় ২০ থেকে ২৫টি পরিবারের লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
তেমুক নওগাঁ বাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শ্রী পঙ্কজ কুমার সাহা বলেন, এটা তেমুক বাজারের হাটের জায়গা। শুনেছি ছাত্রলীগ নেতা রওনক হাসান হারুন তার জন্য কার্যালয় নির্মাণ করছেন। জনগণের অসুবিধা করে কোনো দলীয় বা ব্যক্তিগত কার্যালয় নির্মাণ মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে অবগত করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান হারুন জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই তিনি ঘর নির্মাণ করছিলেন পরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হাটের মধ্যে ঘর করা যাবে না বলে জানালে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, তিনি কাউকে ঘর নির্মাণের অনুমতি দেননি। হাটের জায়গা দখল করে কার্যালয় নির্মাণে সাধারণ জনগণের চরম সমস্যার সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে নিষেধ করেও কোনো কাজ হয়নি। তার ইউনিয়নে কোনো আঞ্চলিক কার্যালয়ের দরকার নেই। বিষয়টি তিনি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে অবহিত করলে তিনি নির্মাণাধীন ওই ঘর অপসারণের নির্দেশ দেন। পরে তা অপসারণ করা হয়েছে।
তাপস কুমার/আরএআর