রাতারাতি বিএনপির কার্যালয় হয়ে গেল কৃষি অফিস!
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হঠাৎ করেই কৃষি অফিসের সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে । তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা এই সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তা বলতে পারছেন না কেউ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে সাইনবোর্ডটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর থেকেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাতারাতি দলীয় কার্যালয়ে এমন সাইনবোর্ড দেখে ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের বেশ কয়েকজন দোকানি বলেন, আগের দিন (মঙ্গলবার) রাতেও আমরা যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরি তখনও এ সাইনবোর্ডটি আমরা দেখিনি। সকালে দোকানে আসার পর সাইনবোর্ডটি দেখতে পেয়েছি। গভীর রাতেই এই সাইনবোর্ডটি লাগিয়েছে কেউ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান বলেন, প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ অফিসটি আমরা ব্যবহার করে আসছি। আব্দুল জব্বার চৌধুরী নামে একজনের নিজস্ব দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এ অফিসটি। গত ৩ সেপ্টেম্বর সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে আজ সকালে দেখি সেই কার্যালয়ে ধ্বংসস্তূপের ওপরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রুহিয়া শাখার একটি সাইনবোর্ড। আমি অবাক হয়ে যাই। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। যারা এমন কার্যকলাপ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই সাইনবোর্ডের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ ধরনের সাইনবোর্ড দেওয়ার আমাদের কোনো সুযোগ নেই। বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখব।
রুহিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, সাইনবোর্ড কারা লাগিয়েছে জানি না। এটা কৃষি সম্প্রসারণের বিষয় যে, তাদের জায়গা সেখানে আছে কিনা। ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এম এ সামাদ/আরএআর