নদী সাঁতরে পালানোর চেষ্টাকারী পুলিশ সদস্যকে আটক করলেন তরুণী
চেষ্টা করেছিলেন নদী সাঁতরে পার হয়ে আত্মরক্ষা করবেন। এজন্য কীর্তনখোলায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘ধর্ষিত’ তরুণীর চেষ্টায় অবশেষে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আহম্মেদ। তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কীর্তনখোলা লাগোয়া বধ্যভূমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদকে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বাড়ি বরগুনা জেলার আমড়াঝুড়ি গ্রামে। এছাড়া মামলার বাদীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
মামলায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি মাস থেকে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বরিশাল নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ আলেকান্দা বুকভিলা গলিতে তার (বাদী) পিতার বাসার দোতলায় ভাড়া ওঠেন। এ সূত্র ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় এবং কাওছার আহম্মেদের এক ব্যাচমেট পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে সখ্য বাড়ান। তবে পর্যায়ক্রমে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কাওছার নিজেই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
কোতোয়ালি থানা থেকে ঢাকা পোস্টকে জানানো হয়, দুই মাস আগে তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর কাওছারকে জানালে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) কাওছার কীর্তনখোলার তীরে বধ্যভূমি এলাকায় রয়েছে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আটক করেন তরুণী।
যদিও ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে গেঞ্জি পরিহিত (কাওছার) যুবককে দুই নারী ও একজন পুলিশ সদস্য (সাদা পোশাকে) এসে ধরে ফেলে। এসময়ে পুলিশ সদস্য ধরে ফেলা ব্যক্তিকে হাতে হ্যান্ড কাপ পরান। তখন আটক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। এ নিয়ে জটলা হয়। শেষে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক সদস্য হ্যান্ড কাপ খুলে দিতে বলে। হ্যান্ড কাপ খুলে দিলে দুই নারী ওই যুবককে ধরে রাখে। তবে তাদের হাত ফসকে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন যুবক। ট্রলারযোগে সেখান থেকে গিয়ে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসকেডি