অবৈধভাবে সার মজুত, ১ লাখ টাকা জরিমানা
ঝিনাইদহে অবৈধভাবে সার মজুত করার দায়ে এক ডিলারকে ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিলারের সহযোগীকেও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ এমওপি (পটাশ) সার।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমী এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডিতরা হলেন বিসিআইসি ডিলার মো. আবু জাফর মুন্সী ও তার ম্যানেজার আব্দুর রহিম।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিম ঢাকা পোস্টকে জানান, সদর উপজেলার ধননজয়পুর বাজারের একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ এমওপি সার মজুত রাখার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তির গুদামে ৫ মেট্রিক টন এমওপি সার পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ওই সার কৃষকদের কাছে গত মাসেই বিক্রি করার কথা থাকলেও ডিলার মুন্সী রাসেল এন্টার প্রাইজের মালিক মো. আবু জাফর তা করেননি। এ ছাড়া ১৬ মেট্রেক টন ইউরিয়ার সারের হিসেব পাওয়া যায়নি।
এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিসিআইসি সার ডিলার মো. আবু জাফরকে ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই আদেশে তার ম্যানেজার আব্দুর রহিমকে এক মাসে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গুদামের মালিক আলমগীর হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিকেল ৫টার দিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরআই