বাবা-ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ
শেরপুরের নকলায় ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাবা-ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত হানিফ উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন আক্তার স্বামী-সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। তার কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নকলা হাসপাতাল রোডে ট্রাকচাপায় নকলা পৌরসভাধীন কলাপাড়া এলাকার মৃত আজিমদ্দিনের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৪৫) ও তার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী পিয়াস রইস উদ্দিনের (১১) মৃত্যু হয়। হানিফ ছেলেকে বাইসাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফের স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, আমি কোনো দিন কল্পনাও করিনি এভাবে আদরের ধন মারা যাবে।
হানিফ-পারভীন দম্পতির আরেক শিশু সন্তান রয়েছে। এখন আয়-রোজগারের আর কেউ না থাকায় পরিবারের বেঁচে থাকা এই দুই সদস্য অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের সংসার চলবে কীভাবে? ছোট অবুঝ শিশুটিকেই মানুষ করবে কে?এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে স্ত্রী পারভীন। কিন্তু এর জবাব নেই কারও কাছে।
নিহতের স্বজন হাবিবুর রহমান বলেন, নকলা যাওয়ার পর ট্রাক পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেয়। এতে পিয়াস পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যায় আর তার বাবা হানিফ ট্রাকের নিচে আটকা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে হানিফ মারা যায়। পিয়াসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার যেন শাস্তি হয়।
নিহতের আরেক স্বজন সালাম মিয়া বলেন, এটা একটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। একটা লোক যাইতেছে, পেছন থেকে ট্রাক নিয়ে ওপরে তুলে দিছে। এটা দুর্ঘটনা না, মনে হয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ইতোমধ্যে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে।
আরএআর