বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ পিরোজপুরের ৫ মাছ ধরার ট্রলার
নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী উপজেলার ৫টি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। এসব ট্রলারে ৭০-৮০ জেলে রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতি। এদিকে স্বজনদের খোঁজ না পেয়ে চরম উৎকণ্ঠার মাঝে রয়েছেন নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর থেকেই ট্রলারগুলো নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী।
নিখোঁজ পরিবার ও স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, মাছ ধরতে ৮টি ট্রলার সাগরে যায়। আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে ট্রলারগুলো নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে শনিবার বিকেলের দিকে সেগুলোর মধ্যে ৩টি ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়। বাকি ৫টি ট্রলার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ ট্রলারগুলো হচ্ছে- ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের হেলাল মাতব্বরের এফ বি মায়ের দোয়া ১৬১, দুলাল মাতব্বরের এফবি আব্দুল্লাহ-১, সাইফুল মাতব্বরের এফবি ভাই ভাই, এফবি ভাই ভাই-২ ফিশিং বোট এবং কালাইয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের এফবি জিদনী।
জেলা মৎস্য ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি কমল দাস বলেন, নিখোঁজ হওয়া ৮টি ট্রলারের মধ্যে ৩টির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পেরেছি। বাকি ৫টি ট্রলার এখনো নিখোঁজ। ট্রলারগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ জন জেলে রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ট্রলারগুলো সন্ধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ইন্দুরকানী উপজেলার নিখোঁজ ৪টি ট্রলারে থাকা জেলে পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. লুৎফুন্নেছা খানম। তিনি জানান, খবর পেয়েই ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ জেলে পরিবারের মাঝে প্রাথমিকভাবে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। জেলেদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন জেলে পরিবারের পাশে আছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী জানান, আমরা জেলেসহ ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ট্রলারসহ জেলেদের তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
মো. আবীর হাসান/এমএইচএস