প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চা-শ্রমিকরা
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে টানা পঞ্চম দিন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির পাশাপাশি চা-বাগানগুলোয় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চা-শ্রমিকরা। সারা দেশের মতো বুধবার (১৭ আগস্ট) হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। মনসাপূজা থাকা সত্ত্বেও শ্রমিকরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা-বাগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, আমরা এক সপ্তাহ ধরে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তর শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। অথচ সেখানে মালিকপক্ষ ছিল না। সরকারপক্ষের কথা আমাদের পক্ষে হয়নি। তারা আন্দোলন বন্ধ করতে বলেছিল।
আরও পড়ুন : ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি
তিনি আরও বলেন, আমরা শখের বশে আন্দোলন করছি না। ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। ঠিক তত দিন এটা চালিয়ে যাব, যত দিন না দাবি আদায় হবে। প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।
বেগমখান চা-বাগানের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে চলতে পারছেন না বলে জানান বক্তারা।
আরও পড়ুন : ৩০০ টাকা মজুরি না পেলে রাজপথ ছাড়বেন না চা-শ্রমিকরা
তারা বলেন, ১৭৫ বছর ধরে বাংলাদেশে বাস করছি। কোম্পানি প্রতিবছর ১ টাকা করে বাড়ালেও ১৭৫ টাকা মজুরি পেতাম আমরা। অন্য দেশগুলোয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে সন্তান-সন্ততি নিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।
এনএ