ত্রাণ তো দূরের কথা, কেউ খবরও নেয়নি
বৈরী আবহাওয়ার কারণে অস্বাভাবিক জোয়ার হয়েছে ভোলায়। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ফের জোয়ারের পানিতে মনপুরার কাজিরচর, কলাতলীর চর এবং চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও চর নিজামসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় ঘর-বাড়ি, ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত ৬ দিন ধরে একই অবস্থা চলছে, অথচ উপজেলা প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। ঘরের ভেতর পানি ঢুকে চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্না করতে না পেরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে মানুষের।
মনপুরা উপজেলার কাজিরচরের মো. সিরাজ মিয়া জানান, আজ সাত-আট দিন ধরে আমরা বারবার জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছি। রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছি না। চুলা ডুবে থাকায় রান্না-বান্না হচ্ছে না। খেতে না পেরে আমরা চরম কষ্টে আছি। চরাঞ্চলে শুকনো খাবারও নেই। যে কারণে আমরা বলতে গেলে একেবারে না খেয়ে আছি।
আমাদের জন্য বিশুদ্ধ পানিও নেই। প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। জোয়ারের পানি নামার সময় এ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হচ্ছে, আমাদের বসত-বাড়িও চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চরফ্যাশনের ঢালচরের ইসরাফিল হাওলাদার জানান, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ঢালচরে ডুবে যাওয়া দুটি ট্রলারের নিখোঁজ ৯ জেলের সন্ধান ছয় দিনেও পাওয়া যায়নি।
বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় চরবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব চরগুলোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সাহায্যের জন্য কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসন থেকে আবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরআই