দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত
বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে এক দিন আগেই বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তা কমেনি, বরং আরও বেড়েছে নদীর পানি। এ কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে জেলা ও উপজেলা শহরে। ফলে উদ্বেগে রয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, পূর্ণিমা ও লঘুচাপের প্রভাবে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০ নদীর পানির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরেই নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১০টি নদীর পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ওপরে। এটি বন্যা পরিস্থিতি না, বর্ষা মৌসুমে এই চিত্র বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক।
উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ১ মিটার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানিয়েছেন, আরও তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই