অতিথি হিসেবে প্রবেশ করে সব লুট করে তারা
প্রথমে অতিথি, ছাত্র ও সার্ভিসম্যান হিসেবে এলাকায় প্রবেশ করতো। তারপর যেসব বাড়িতে দাড়োয়ান থাকতো না সেসব বাড়িতে চুরি করার লক্ষ্য ঠিক করতো। তারপর সুযোগ বুঝে ছদ্মবেশে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে তালা ও গ্রিল কেটে বিভিন্ন অভিনব পন্থায় দ্রুত মূল্যবান মালামাল চুরি করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যেত।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে আন্তঃজেলা ও বিভিন্ন মহানগরীর চোর চক্রের ২ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আশিকুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আশুলির চর পূর্বকান্দি গ্রামের মৃত আসলাম মোল্লার ছেলে ও মো. মামুন মোল্লা খুলনার সোনাডাঙা থানার নিরালা বাজার এলাকার মৃত আরমান মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ এপ্রিল নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকায় গোল্ডেন প্যালেসের ২য় তলার দরজা ভেঙে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও এক লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আমরা ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে আশিকুল ইসলাম (৩০) ও মো. মামুন মোল্লাকে (২৮) গ্রেপ্তার করি। তারা রাজধানীসহ সারাদেশে অভিনব কৌশলে চুরি করতো। তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল ৬ আগস্ট রাতে ঢাকার ডেমরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে
চোরাই মালামাল চারটি ছোট বড় স্বর্ণের আংটি, এক জোড়া কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি লকেট, একজোড়া রুপার চুড়ি, দুই জোড়া নুপুর, একটি ব্রেসলাইট, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল সেট, নগদ ৫ হাজার ৯০০ টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি একটি রেঞ্জ, একটি তালা ভাঙ্গার টালী উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোয়াখালীর চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীতে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীতে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও তারা এই মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। যা যাচাই বাছাইসহ তদন্ত অব্যাহত আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদেরকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অন্যান্য চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/এমএএস