প্রবেশপত্রে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলকে ‘ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’ লিখল রেলওয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার পদের নিয়োগ পরীক্ষা শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মতো ময়মনসিংহের ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। তবে একটি কেন্দ্রকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম বিভ্রান্তি। তা হলো ময়মনসিংহ জিলা স্কুল কেন্দ্র।
স্কুলের নাম ময়মনসিংহ জিলা স্কুল হলেও পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল’। যদিও এই ডিস্ট্রিক্ট স্কুল নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই ময়মনসিংহে। এমনকি আসন বিন্যাসের তালিকাতেও নেই ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। স্কুলের নাম নিয়ে তাই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। যদিও আসন বিন্যাস প্রকাশের পর জিলা স্কুলের তালিকায় থাকা রোল নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হন তারা। তবে জিলা স্কুলকে কিভাবে ডিস্ট্রিক্ট স্কুল লিখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, তিন দিন আগে আমি আমার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করি। সেখানে কেন্দ্র লেখা হয়েছে ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। এরপর থেকে স্কুলটি খুঁজতে শুরু করি। কিন্তু অনেক খুঁজেও তা পাইনি। অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করলেও কেউ বলতে পারেননি। এরপর শুক্রবার রাতে জিলা স্কুলে যাই। দেখি আসন বিন্যাস টাঙানো হয়নি। পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে দেওয়া আসন বিন্যাসে রোল নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হই, এটি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল হবে। আমার মতো অনেকেই এই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কুলটির সাবেক শিক্ষার্থীরা। জিলা স্কুল এক্স স্টুডেন্ট স্পোর্টস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক (মিডিয়া কমিটি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জিলা স্কুল কখনো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল হতে পারে না। এটি অবশ্যই অন্যায় হয়েছে এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি ঘৃণা জানাই। আমরা এর প্রতিবাদ জানাব।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহছিনা খাতুন বলেন, প্রবেশপত্র আমরা এখনো দেখিনি। এটি যারা করেছে, তারাই জানে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু পরীক্ষা চালাব। এছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই।
রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ৫৬০টি পদের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৩১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন ২৭ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে সিট পড়েছে ৭০০ পরীক্ষার্থীর।
এসপি