ভোলায় সংঘর্ষ : নিহত জেলা ছাত্রদল সভাপতির দাফন সম্পন্ন
ভোলায় দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভোলার আলতাজের রহমান কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা নামজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রু ম্যানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই বিএনপির তেল গ্যাসসহ নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ অনেক নেতাকর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরে আলমকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে বুধবার দুপুরে ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল দুপুরে ঢাকায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বরিশাল হয়ে সড়ক পথে তার মরদেহ ভোলায় আনা হয়।
ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে ভোলায় এসে পৌঁছে। এ সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী নিহত নুরে আলমকে এক নজর দেখতে, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন দলীয় কার্যালয়ের সামনে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর বলেন, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা সৃষ্টি করে এবং গুলি করে নূরে আলমকে হত্যা করা হয়।
এসকেডি