কলেজছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় হামলা, আসামিরা এখনো অধরা
যশোরের বাঘারপাড়ায় কলেজছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর ভাবি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই রাতে যশোরের বাঘারপাড়ার খানপুর গ্রামে কলেজছাত্রীর বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ২২ জুলাই ভুক্তভোগী পরিবার চারজনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরে আদালত প্রধান অভিযুক্ত মিরাজ বাদে তিনজনকে জামিন দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, বেশ কিছু দিন ধরে মিরাজ তাকে বিরক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় তাকে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এসব বিষয় নিয়ে গত ১৬ জুলাই বিকেলে সালিস হয়। সেখানে মিরাজকে গ্রামের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। একই দিন রাতে মিরাজ ঘর থেকে ছাড়া পেয়ে রাত ৯টার দিকে কলেজছাত্রীর বসতবাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় কলেজছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে সেটি তার ভাবির মাথায় লাগে। পরে কলেজছাত্রী ও তার বাবা-মা এবং ছোট ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা আদালতে মামলা করার পর এখন পর্যন্ত প্রধান আসামি মিরাজকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরং মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা বাকি তিন আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আসামি মিরাজ এবং তার পরিবার আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার কপি আমাদের কাছে আছে। আদালত অন্য কাউকে তদন্তভার দিয়েছে হয়তো। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।
এসপি