দ্বিতীয় দিনও ছাত্রীর বাড়িতে ঘটক, কারাগারে পাঠাল পুলিশ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের কথা বলতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক ঘটকের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৭ জুলাই) তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের নগরীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ঘটক মানিক মিয়া রায়কোট ইউনিয়নের পূর্ব বামপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, গত সোমবার বিকেলে বিয়ের জন্য দেখতে নবম শ্রেণিপড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান ঘটক মানিক মিয়া। এ সময় ওই ছাত্রীর বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে কৌশলে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান ঘটক মানিক। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে এসে ঘরে মেয়েকে অর্ধনগ্ন ও অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন তারা।
ওসি আরও বলেন, পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ঘটক মানিক আবার ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান বিয়ে নিয়ে কথা বলতে। তখন ছাত্রী তাকে দেখে চিৎকার দিয়ে বলে যে ঘটক তাকে গতকাল ধর্ষণ করেছেন। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার ঘটককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে ওই ঘটককে কারাগারে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
এনএ