আশুলিয়ায় গলা কেটে শিশু হত্যা, আটক ২
সাভারের আশুলিয়ায় ইভা (৩) নামে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার ঘোষবাগের কুন্ডলবাগ এলাকার হেলাল উদ্দিনের বাড়ির গোসলখানার ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই শিশুর দুই প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত ইভা লক্ষিপুর জেলার রায়পুর থানার চরআবাবিল গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে। তার বাবা ও মা দুইজনই পোশাক কারখানার শ্রমিক।
আটক দুইজন হলেন একই বাড়ির ভাড়াটিয়া আল-আমিন (৩৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। আল-আমিন ওই বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে ফেরি করে সবজি বিক্রি করতেন। অপরজন একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিগ্যান (১৬)। সে তার ভাই ও ভাবির সঙ্গে ওই বাসায় বসবাস করে। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, নিহতের বাবা-মা দুইজনই পোশাককর্মী। প্রতিদিন সকালে তারা কাজে গেলে ইভার ভাই সাকিবসহ (৭) আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করত তারা। আজ তার বাবা-মা দুপুরের খাবার খেয়ে কারখানায় যান। পরে মিম নামে এক শিশু তাকে খেলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়।
এর বেশ কিছুক্ষণ পরে মিমসহ আরও দুই শিশু সাকিবকে গিয়ে ইভার মৃত্যুর খবর দেয়। পরে তারা বাড়ির টয়লেটে গিয়ে ইভার মরদেহ দেখে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) খবর দেন। খবর পেয়ে পিবিআইয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্লেডসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে র্যাব -৪ এর একটি দল ঘটনাস্থল থেকে রিগ্যান ও আল-আমিন নামে দুই ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিবিআইকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে ক্রাইমসিন সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় দুই ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাই।
এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্লেড, ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা নিহতের জুতা, প্লাস্টিকের দুটি খেলনা চামুচসহ বিভিন্ন আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। একই সঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মাহিদুল মাহিদ/আরআই