দেড় লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা দায়ে স্বামী সুজন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুজন মিয়া টাঙ্গাইল পৌরসভার আদি টাঙ্গাইল এলাকার মৃত আবদুস সালামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মো. সুজন মিয়ার সঙ্গে পৌরসভার আদি টাঙ্গাইল দাসপাড়ার শিউলী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দেড় লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সুজন বিভিন্ন সময় শিউলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
২০১৪ সালের ১৭ জুন বেলা ১১টার দিকে সুজন ঘরের দরজা বন্ধ করে যৌতুকের টাকার জন্য শিউলীকে মারধর করেন। পরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুন শিউলী আক্তারের মৃত্যু ঘটে। পরে তার ভাই শিবলু মিয়া বাদী হয়ে ১৮ জুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আজ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
অভিজিৎ ঘোষ/এনএ