শিক্ষক উৎপল খুন, আজও উত্তাল সাভার
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার খুনের ঘটনায় আজও উত্তাল সাভার। অভিযুক্ত আশরাফুল আহসান জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে সাভার উপজেলা চত্বরে প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় তারা জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষকদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে, আশরাফুল আহসান জিতুর দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নিহতের পরিবারকে সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জিতুর সহযোগীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং স্থানীয় ও ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নির্মূল করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের (ফোকা) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জীতু বলেন, আমরা খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অবমাননা করতেও সাহস না পায়। এমন শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন শাস্তি দেখে পরিবার সন্তানদের স্পর্ধা না দিয়ে চরিত্র গঠনে সহায়ক হন। এখন মানববন্ধন করা হলো। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বারকলিপি প্রদানসহ সকল শিক্ষক কালো ব্যাচ ধারণ করবেন।
হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই কিশোর গ্যাং নির্মূল হোক। জিতু পরিকল্পনা করে শিক্ষক উৎপলকে হত্যা করেছে। সে তার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। যেখান থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ছিল। তার কাছেই সে আশ্রয় নেয়। সুতরাং জিতু যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তা স্পষ্ট। আমরা চাই পুরো ঘটনা স্পষ্ট করা হোক।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন শিক্ষার্থী জিতু। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা ও বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি