চার কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবিতে ট্রাইব্যুনালে যাবেন সাক্কু
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে পরাজিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দেরি করে দেওয়া চার কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত চেয়ে সেসব কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মনিরুল হক সাক্কু।
তিনি জানান, আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সুযোগ আছে। আমি সব নথিপত্র তৈরি করছি। ২২ জুলাইয়ের আগেই মামলা দায়ের করা হবে।
ফলাফল কারচুপির অভিযোগ তুলে সাক্কু বলেন, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে শিল্পকলা একাডেমির দূরত্ব আধা কিলোমিটার। এই পথ যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার পুলিং এজেন্টদের ফলাফল বিবরণী না দিয়ে দ্রুত চলে যান। দিশাবন্দ নতুন ও পুরোনো ভবন ভোটকেন্দ্রে ফলাফলের তালিকায় যে স্বাক্ষর ও পিন নম্বর আছে, সেটি তার এজেন্টদের নয়।
শালবন বিহার কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলে তার এজেন্টের কোনো স্বাক্ষর নেই। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টেরও নেই। ফলাফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার অবৈধ হস্তক্ষেপ ও অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবে কালক্ষেপণ করার কারণে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তা সারাদেশের মানুষ দেখেছে। আমি তাই ওই ৪ কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানাবো ট্রাইব্যুনালে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটের কয়েকদিন পর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ৩৪৩ ভোটে হেরে যান। গত ২৩ জুন বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশিত হয়। আগামী ৪ জুলাই বিজয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
ওএফ