নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় গণধর্ষণ, মূল হোতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পোশাক কারখানায় এক শ্রমিককে (২০) গণধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার মূল হোতা আমির আব্বাস ওরফে মোল্লাকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। অপর অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বিসয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (হাজীগঞ্জ ফাঁড়ি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী।
শনিবার (১১ জুন) রাতে তাকে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পেছনে আলিফ ফ্যাশন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রুহুল আমিন পাটোয়ারীর ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলিফ ফ্যাশনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (হাজীগঞ্জ ফাড়ির) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে জানান, গণধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা আমির হোসেন মোল্লাকে শনিবার তার নিজ কর্মস্থল ও ধর্ষণের ঘটনাস্থল আলিফ ফ্যাশনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এই গণধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তবে অপর আসামির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ওই নারী শ্রমিক তার পূর্বপরিচিত লাকী নামে এক নারীর মাধ্যমে চলতি মাসের ২ জুন জনৈক হান্নানের মালিকানাধীন আলিফ ফ্যাশন গার্মেন্টসের পঞ্চম তলায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজে যোগদান করেন। কর্মে যোগদানের দুদিন পর ৪ জুন সকালে নিজ বাসা থেকে আলিফ গার্মেন্টসে যান। কারখানায় গিয়ে জানতে পারেন বিদ্যুৎ নেই। তাই সব কর্মীরা চলে গেছেন।
পরে তিনি কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় তৃতীয় তলায় পৌঁছালে কারখানার এক শ্রমিক মোল্লা তাকে যেতে বারণ করে বলেন, এখনই বিদ্যুৎ চলে আসবে। এই কথা বলে তার গতিরোধ করে প্রথমে মোল্লা তার মুখ চেপে ধরেন। পরে সেখানে থাকা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সহায়তায় তাকে তুলে নিয়ে যান কারখানার একটি কক্ষে। পরে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন ওই দুইজন।
তবে ভুক্তভুগী নারী তার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ৭ জুন বিষয়টি জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে এ বিষয়ে নীরব থাকার পরামর্শ দেন। পরে ওই নারী কারখানা থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে অভিযুক্ত মোল্লা মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেন।
পরবর্তীতে ওই নারী মোল্লার নাম উল্লেখ করে ও আরেকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
আরআই