‘এমপি বাহার কুমিল্লায় না থাকতে পারলে আমরাও থাকব না’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, বাহার ভাই (কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার) যদি নির্বাচনের সময় কুমিল্লা না থাকতে পারেন, আমরাও থাকব না। হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি কুমিল্লায় থাকবেন।
শুক্রবার (১০ জুন) নিজ নির্বাচনী ক্যাম্প নগরীর রাণীর দিঘির পাড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিফাত এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রতি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বলেন, আপনাদের কি মনে হয় লেভেল প্লেয়িংয়ে কোনো সমস্যা আছে? প্লিজ আপনারা একটু উত্তর দিন। আপনাদের কি মনে হয় এমন কিছু হয়েছে? সবার জন্য সমান, আমার মিটিং গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে, কই আমি তো কিছু বলিনি।
এমপি বাহার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি উল্লেখ করে রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, আমার কোনো মিটিংয়ে আপনারা বাহার ভাইকে দেখেছেন? নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। মাঝেমাঝে আওয়ামী লীগ অফিসে যান। আওয়ামী লীগের অফিসও কি বন্ধ করে দিব?
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচন কমিশনে বাহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বাহার ভাইকে কুমিল্লা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। এটা কুমিল্লার মানুষের সেন্টিমেন্ট। বাহার ভাইকে কুমিল্লা থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন সাক্কু।
আমি আপনাদের সবার কাছে বিচার দেব। বাহার ভাই কুমিল্লা না থাকলে আমরা থাকবো কেন? বাহার ভাই যদি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে, তিনি (সাক্কু) প্রমাণ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করুক। আমি সবার কাছে এই কথাই বলব, সাক্কু বাহার ভাইকে বিতাড়িত করার জন্য এসব করছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিরুদ্ধে গত সোমবার (৬ জুন) নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য বাহারকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। পরদিন মঙ্গলবার (৭ জুন) হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। বুধবার (৮ জুন) তার নির্বাচনী এলাকায় থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আবারও চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
আরএআর