সীতাকুণ্ডে নিহতদের মধ্যে দুই ফায়ার সার্ভিস কর্মী রাঙ্গামাটির
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর (ফায়ার ফাইটার) মধ্যে দুইজন রাঙ্গামাটির বলে জানা গেছে। তারা চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।
এরা হলেন- মিঠু দেওয়ান (৫২) ও নিপন চাকমা (৪৭)। এর মধ্যে মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা শাখা আর নিপন চাকমা সীতাকুণ্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মিঠু দেওয়ান রাঙ্গামাটি জেলা শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল এলাকার বাসিন্দা ও নিপন চাকমা কলেজগেট এলাকার বাসিন্দা।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে ৯ কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরও বেশ কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পুড়ে মারা যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভানোর কাজে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা দায়িত্বরত ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে তারাও রয়েছেন।
মিঠু দেওয়ানের ভাই টিটু দেওয়ান বলেন, ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে খবর দেওয়ার পর সকালে আমার ছোট ভাই ও খালা চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছেন, আমি বলেছি এটাই আমার ভাই। আমার ভাইও তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তাকে রাঙ্গামাটি নিয়ে আসা হবে।
নিপন চাকমার আত্মীয় সুষমা চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে বলা হয়েছে রাতে পোস্টমর্টেম শেষে মরদেহ রাঙ্গামাটি নিয়ে আসা হবে। আমরা সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছি। নিপন চাকমার কোনো আত্মীয় স্বজন চট্টগ্রামে যায়নি। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ মরদেহ রাঙ্গামাটি নিয়ে আসবে।
মিশু মল্লিক/আরএআর